সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ইন্তেকাল
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
চলে গেলেন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ক্যান্সারে আক্রান্ত আওয়ামী লীগের সাবেক এ সাধারণ সম্পাদক গতকাল রাতে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)।
হাসপাতালে থেকেই একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। গতকাল সকালে নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। শপথের জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন বলে সে সময় জানান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর রাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, পরিকল্পনামন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রীসহ তার সহকর্মীরা। শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে তার দল আওয়ামী লীগও।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫০ সালে ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুজিবনগর অস্থায়ী সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সহপ্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ডের পর সৈয়দ আশরাফুল যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস অঞ্চলে বসবাস শুরু করেন। লন্ডনে থাকাকালে তিনি বাংলাদেশী কমিউনিটির বিভিন্ন কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। সে সময় তিনি লন্ডনের বাংলাদেশ যুবলীগের সদস্য হন। ১৯৯৬ সালে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দেশে ফিরে আসেন এবং ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ সালে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০০১-০৫ সাল পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে গঠিত মন্ত্রিসভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (এলজিআরডি) দায়িত্ব পান। ওই বছর অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে একই মন্ত্রণালয় অর্থাৎ এলজিআরডিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। পরবর্তী সময়ে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন