সংবিধান পরিবর্তন করতে পারে মিসর
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ সিসির দ্বিতীয় মেয়াদের দায়িত্ব ২০২২ সালে শেষ হতে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিসিকে আরো বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় রাখতে সংবিধান পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন সমর্থকরা। খবর এএফপি।
সাবেক সেনাপ্রধান সিসি সদ্যসমাপ্ত বছরের মার্চে ৯৭ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনরায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। কিন্তু মিসরের সংবিধান অনুযায়ী টানা দুই মেয়াদের বেশি কোনো প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় থাকার বিধান নেই। এ পরিস্থিতিতে সিসির সমর্থকরা চাইছেন পার্লামেন্টে আলোচনার মাধ্যমে সংবিধানের ওই ধারাটি পরিবর্তন করা হোক।
সরকারপন্থী রাষ্ট্রায়ত্ত দৈনিক আল-আখবারে প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে ভবিষ্যতে সিসির ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালকে ‘বিলম্বিত রাজনৈতিক সংস্কারের’ সূচনা হিসেবে দেখার আশা প্রকাশ করা হয়। সংবাদপত্রটির পরিচালক ইয়াসির রিজকের লেখা নিবন্ধে বলা হয়, পাঁচ বছর আগে সিসি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ‘সাধারণ মানুষ যে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের দেখা পেয়েছে, তার সবই ধরে রাখতে’ এ পরিবর্তন প্রয়োজন। তিনি আরো জানিয়েছেন, চলতি বছরের গ্রীষ্মের শেষ সময়ের মধ্যেই এ পরিবর্তন অনুমোদিত হতে হবে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুরসির বিরুদ্ধে ব্যাপক গণআন্দোলনের সূত্র ধরে ২০১৩ সালে তাকে হটিয়ে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন সিসি। একই বছরে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক আচরণের জন্য সিসি প্রশাসন বিভিন্ন মানবাধিকার দলগুলোর কাছে চরম সমালোচিত।
ভিন্নমতাবলম্বীদের ধরপাকড় করা ছাড়াও সিনাই উপত্যকায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পর্কিত জঙ্গি দলগুলোর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানও চালিয়ে যাচ্ছেন সিসি। অর্থনৈতিক সংকট থেকেও মিসরের উত্তরণের গতি খুব শ্লথ। এছাড়া দেশটির স্থানীয় মুদ্রার মান কমেছে এবং রাষ্ট্রীয় ভর্তুকির পরিমাণও কমেছে।
প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা তাকে আরো সময় ক্ষমতায় রাখতে চাইলেও পুনর্নির্বাচিত হওয়ার আগে সিসির পক্ষ থেকে এমন কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়নি। বরং ২০১৭ সালের নভেম্বরে আমেরিকান নিউজ নেটওয়ার্ক সিএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছিলেন, তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে চান না তিনি। কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর সাধারণ মানুষের বিতর্কে এ প্রশ্নটিই ঘুরেফিরে উঠতে থাকে।
সরকারের ঘনিষ্ঠ ওয়াফড পার্টির এমপি মোহাম্মাদ ফুয়াদ এএফপিকে বলেন, ‘গত রাতে গোটা মিসর এ নিবন্ধটির (রিজকের কলাম) বিষয়ে আলোচনা করেছে। এ ইস্যু নিয়ে এখন শুধু পার্লামেন্টেই নয়, মিসরের সর্বত্র আলোচনা চলছে।’ তিনি আরো উল্লেখ করেন, এ ইস্যুটি নিয়ে পার্লামেন্টে সম্ভাব্য আলোচনার উদ্যোগ সরকারের প্ররোচিত নয়। তবে মিসরের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী পার্লামেন্টে এটি উত্থাপিত হলে তা খুব বেশি অবাক করার মতো বিষয় হবে না।
তিনি আরো বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সাধারণ মানুষও সংবিধানের সংশোধন চাইছে। কারণ সবসময়ই প্রশ্ন ওঠে, সিসির দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হলে তার বিকল্প কে হবেন? আর তখনই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।’
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন